রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৪

সত্বীত

প্রায় দেড় বছর পূর্বে বাড়ি থেকে আসার পথে জীপে একটি মেয়ের সাথে আমার পরিচয়। প্রথম দর্শনে যে কেউ তাকে সত্বী বলে চারিত্রিক সনদ দিয়ে দিবে। যেমনটি আমিও দিয়েছিলাম। কিন' আজ অত্যনত্ম দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে সেদিন আমি যা দেখে ছিলাম তা ছিল কেবল তার বাহিরের চরিত্র আমি তখন তার ভেতরের চরিত্র দেখি নি।
প্রথম দেখেই মনে হল খুব ভাল বংশের মেয়ে। তার সাথে পরিচয় হয় আমার জীপেই। নাম (ছদ্দ নাম) প্রেমতি। বৃন্দাবন কলেজে তখন সে অনার্স ১ম বর্ষে পড়ত। কোন বিষয় নিয়ে পড়ত তা বলা যাবে না। কারণ সবকিছু বলা হয়ে গেলে তাকে সবাই চিনতে পারবে। কিন' আমি চাই না সবাই তাকে চিনুক। আমি চাই শুধু তার কর্মটুকু মানুষ জানোক।
সেই দিনের পর থেকে আমি তাকে মনে মনে খুব মিস করতাম। তার মানে এই নয় যে আমি তার সাথে প্রেম করার জন্য মিস করতাম। আসলে তখনও সে আমার কাছে ছিল অন্য দশটা মেয়ের থেকে আলাদা। সেইদিন ভুলে তার বাসার ঠিকানাটি নেওয়া হয় নি। তাই তাকে খুজা বর্থতা ছাড়ার আর কিছুই ছিলনা আমার কাছে। বেশ কিছু দিন পর আমার এক মেয়ে বন্ধুর (প্রেমিকা নয়) মাধ্যেমে তার সাথে আবার দেখা হয়। তখনও তার মাঝে আমি সেই আগের প্রতিছব্বিই দেখতে পাই। আমার সামনে মাথা উচু করে কথা পর্যনত্ম বলত না। তার এই ব্যবহার আমাকে অনেক মুগ্ধ করে। আমি ভাবি সত্যি এই মেয়ে যার ঘওে যাবে সেই ঘর আলোকিত হবে। তার পড় মাঝে মাঝে তার সাথে আমার রাসত্মা, ঘাটে, কলেজে প্রায়ই দেখা হত। আর ওর সাথে দেখা হলেই ও মাথা নিচু করে পেলত। দেখা হলে শুধু ভাল/মন্ধ এই খবর টিই নেওয়া হত এর বেশি আর কিছুই ছিল না। আমি ও চাইনি রাসত্মায় দাড়িয়ে তার সাথে গল্প করি। আমার না হয় কোন সমস্যা হবে না। কিন' সে তো একটা মেয়ে মানুষ তার অনেক সমস্যা হতে পারে। না নান জনে না নান কথা বর্তা বলতে পাওে ও আর আমাকে জড়িয়ে। তাই আমিও রাসত্মা ঘাটে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কথা বলার দরকার মনে করি নি।
যার মাঝে এতগুন এত শ্রদ্ধাবোধ সে কি কখনো খারাপ হতে পারে। অনেকেই মনে প্রশ্ন না অবশ্যই সে খারাপ হতে পারে না। কিন' আমি যতটুকু জানি তাতে তাকে আমার খারাপই মনে হয়। জানি না বাকী অংশটুকু পড়লে আপনাদের কাছে কেমন মনে হবে। তবে আমি এ ও জানি মানুষ জন্ম থেকে খারাপ হয় না। কোন এক আশা আঙ্কাকা মানুষ কে খারাপ হতে বাধ্য করে। তবে তার খারাপ হওয়া পিছনে ছিল তার পারিপাশ্বির্ক পরিবেশ ও তার নিজের কিছু ইচ্ছা। সে ছিল নিম্ন বৃত্ত পরিবারের মেয়ে। ভাই বোনদের মাঝে সে ছিল সবার বড়। তার এই নিম্ন বৃত্ত পরিবেশে সে নিজেকে নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা করে চলছে সময়ের সাথে। ছোট বেলা তার পড়াশুনা শুরম্ন হয় গ্রামের স্কুলে। গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে। তার স্বপ্ন ছিল শহরের কোন ভাল শিড়্গা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে এবং নিজেকে সে শহরের বাসিন্দা করে রাখবে। সেটি ছিল আর দশটি মানুষের মতই সাধারণ স্বপ্ন। তার ই আর্থিক দুর্বলাতার সুযোগটিকে কাজে লাগাতে চায় তার ই দুরাত্মীয় এক ছেলে। সে থাকে বার বার প্রেমের প্রসত্মাব দেয়। কিন' মেয়েটি প্রথমে রাজি হয় নি। কিন' পড়ে যখন জানতে পারল যে সে তাকে শহরের রাখবে। তখনই তার ইচ্ছার বাঁধ ভাঙ্গে। তার সাথে জড়াতে থাকে প্রেমের সম্পর্কে। এমন কি কখনো খালি বাসা পেলে তাদের মধ্যে চলে গোপন প্রেমেওে কাহীনি। এত দিন আমি তার কিছুই শুনি নি। কিন' আজ এই মাত্র জানতে পারলাম আমার সেই মেয়ে বন্ধুটির মাধ্যমে ছেলেটির সাথে তার না কি একাদিক বার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। শুনে আমি তো আকাশ থেকে পড়ার অবস'া।
প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। আমি ঘটনাটির সত্যতা জানার জন্য সাথে সাথে মেয়েটির মোবাইল ফোনে ফোন দিই। কিন' তার মোবাইলটি বন্ধ থাকার ফলে আমি তার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারি নাই। ততড়্গনে খবরটি পাড়ায় পাড়ায় বেশে বেড়াচ্ছে। এখন আর বিশ্বাস না করে কি হবে।
অতি দুঃখ ভরাক্রানত্ম মন নিয়ে আমি আমার মেয়ে বন্ধুটির কাছে জানতে চাইলাম ছেলেটি কে? শুনে আমার মাথা পুড়-াই আগুন জ্বলে উঠল। অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত একটি মেয়ের চিনত্মা চেতনা কিভাবে এত নিচে নামতে পারে। যে ছেলেটির সাথে তার সেই সম্পর্ক সে হল (আন্ডর সিক্স) একটা ছেলে। তা ও তার বাবা এত বিত্তবান নয়। ছেলেটি শহরের টুকিটাকি কি যেন একটা করে কোন রকমের ঠিকে আছে।
ছিঃ ছিঃ ছিঃ.................................?
মানুষ এত নিছে নামতে পারে?
আমার লেখায় যদি কোন ভুল ত্রম্নটি থাকে তবে তা ড়্গমা সুন্দও দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ রাইল। আর হে আমার লেখাটি যদি (আমার উলেস্নখিত ছেলে/মেয়ে) ছাড়া অন্য কোন ভাই বোনের জীবনের সাথে মিলে যায়। তবে আমি তাদের কাছে ড়্গমা চেয়ে নিচ্ছি। এটি একটি বাসত্মব ঘটনা। তাই এই গল্পের নায়ক নায়িকাদের সাথে মিলে যাবে। তবে তাদেও কাছে আমার বলার কিছুই নেই।
বন্ধুরা আপনাদেও কাছে এবার প্রশ্ন হলো ॥
১। তাকে কি সত্বী বলা যায়?
২। আমার দৃষ্টিতে বলা খারাপ কথাটি আপনাদের কাছে কতটা যুক্তিযুক্ত?
আশা করি সবাই কমেন্টস এ এর উত্তর গুলো দিবেন। তাহলে আমার যদি কোথাও ভুলত্রম্নটি থাকে তবে আমি তা বুঝতে পারব। (চলতে )
Image ti trial not real

শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

প্রথম প্রেম

বন্ধুরা খুব কষ্টে আছি এক অজনা প্রশ্ন আজ বার বার আমার মনকে তাগিদ দিচ্ছে কিন্তু আমি সেই প্রশ্নের উত্তর খুজে পাচ্ছি না কি যে করব কি করলে যে ভাল হবে তাও ঠিক করতে পারছি না কেন জানি নিজেকে অনেক অসহায় মনে হচ্ছে ঘটনাটি হল :
একটি মেয়ে আমাকে পাগলের মত ভালবাসে মেয়েটি নাম শ্রুতি (ছ্দ্ধ নাম) শ্রুতি সবসময় আমাকে নিয়ে তার জীবনের রঙিন স্বপ্ন দেখে আমি ছাড়া তার জীবনে আর কেউ আসবে সে তা জীবনে কখনো কল্পনাও করে না সে তার এই জায়গায় শুধু আমাকে রেখে দিয়েছে সে আমাকে বলেছে যদি এখানে কেউ আসতে চায় তবে সেটা কখনো জীবনে সম্ভব যদি আমি মরে যাই তারপর হয় তো হতে পারে অথবা যদি জীবনে হয় তবে সে শুধু আমার দেহটাকে পাবে ভোগ করার জন্য কিন্তু মন কখনো পাবে না আজ তাই হতে চলেছে তার জীবনে কোন এক বর পক্ষ তাকে দেখতে আসে এবং তাদেও পছন্দ হয়ে যায় বর পক্ষ চায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুভ কাজটা সেরে ফেলতে কিন্তু শ্রুতি তা কিছুতেই মানতে পারছে না সে আমাকে বার বার ফোন করে বলছে তুমি একটা কিছু কর তুমি আমাকে এখন থেকে নিয়ে যাও কিন্তু আমি একজন ছাত্র পড়াশুনা করা অবস্থায় কি কওে আরেকটা মেয়েকে আমার উপর নির্ভরশীল করব তা আমি কখনো বুঝতে পারছি না শ্রুতি আমার সব কিছু জানে সে আমাকে বলছে তুমি শুধু আমায় এখান থেকে নিয়ে যাও তার পর তুমি আমাকে যে ভাবে রাখ আমি সেই ভাবেই থাকব তোমার কাছে আমার কোন চাওয়া নেই আমি কখনো তোমার কাছে কোন সখের বা আল্লাদেও জিনিষ দাবী করব না আমি জানি তুমি একজন ছাত্র আমি শুধু তোমাকে চাই তোমাকে পেলেই আমি খুাশ আমার জীবনে তুমি ছাড়া আর কোন দাবী জিনিষ নেই আমি তোমার সাথে গাছ তলায় দিন যাপন করতে পারব তুমি যাদ আমায় শুধু ভালবাসা দাও তবে আমি দিনে একবার খেয়ে অনেক সুখে থাকব যে সুখ হয়তো বা অন্যেও ঘরে তিন বেলা খেয়ে রাজপ্রসাদে থেকে পাবনা আমি তোমার পায়ে ধরে মিনতি করছি প্লিজ অসীম তুমি আমাকে নিয়ে যাও
বন্ধুরা তার এই দু: দেখে আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারছি না কিন্তু আমি তার জন্য কিছুই করতে পারছি তাই নিজেকে আজ আমার এত ছোট মনে হচ্ছে যে আমি তা কাউকে বলে বুঝাতে পারব না যে মানুষটা আমার জন্য এত কিছু করতে পারছে তার মা ভাই বোন সব কিছু ত্যাগ করছে শুধু আমার জন্য আর অথচ আমি তার জন্য কিছুই করতে পারছি মাঝে মাঝে আমার মনে হয় আসলে আমার মনে বেঁচে থাকাই ঠিক নয় আমার তো মনে হয় মরে যাওয়া অনেক ভাল কিন্তু তা আমি করতে পারছি না আমার পরিবারের সদস্যদেও কথা চিন্তা করে কারণ পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্য আমার দিখে চেয়ে আছে তারা আমার কাছ থেকে কিছু একটা প্রত্যাশা করছে এখন আমি কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না
 শ্রুতির সর্বশেষ কথা : মোবাইল ফোনে হয় তুমি আমাকে জীবিত এখান থেকে নিয়ে যাও আর না হয় আমি মরে শশ্মানে তোমার জন্য অপেক্ষা করব তুমি সেখান থেকে আমায় সাথে কওে নিও কিন্তু আমার জীবনে তুমি ছাড়াও আর দ্বিতীয় কোন মানুষ আসতে পারবে না তোমার কাছে এটাই আমার শেষ কথা ..................................... এবার ভেবে দেখ তুমি কি করবে আমায় জীবিত চাও না আমার মৃত লাশ চাও তোমার যা ইচ্ছে তুমি তাই পাবে আমার ইচ্ছা তুমি পূরণ না করলেও আমি তোমার ইচ্ছা পূরণ করব
বিদায়.....বিদায়.....বিদায়
প্লিজ যদি কোন বন্ধু আমার এই সমস্যার সমাধান দিয়ে সাহায্য করেন তবে চিরকৃজ্ঞ থাকব

একজন পতিতার গল্প!

ডেক্স রিপোর্টঃ রাত তখন দশটা বিশ মিনিট ফুটপাতের হোটেলের কাঠের চেয়ারে বসে আছি দুই বন্ধু; আমি আর নাসির বসে চা,আর মোগলাই পরটা খেয়ে নাসির একটা সিগারেটে আগুন ধরিয়ে টানতে লাগলো সিগারেটের ধোয়ায় কুন্ডলী পাকিয়ে আশপাশটা ভরে গেল আর দুষিত বায়ুতে নিঃশ্বাস টানতে হচ্ছে দেখে খুব বিরক্ত লাগলো কেন যে মানুষ সিগারেট খায় ? অযথাই কেন যে আশপাশের পরিবেশটাকে দূষিত করে ? বোকা লোকগুলো এর মাঝে কি সুখ খুজে পায় আমার বুঝে আসেনা
কিছুক্ষন আড্ডা দেয়ার পর দুই বন্ধু একসাথে বাড়ির উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলাম; রাত তখন দ্বিপ্রহর। ঘন্টার কাটা বারোটা ছুই ছুই আকাশে ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদ।ছেড়া মেঘের ফাক ফোকর গুলিয়ে মরা জ্যোসনা এই মধ্যরাতের প্রকৃতিকে বড় অচেনা করে আনে। জলসিক্ত হাসনা হেনার গন্ধ মাদকতা ছড়ায়
এলোমেলো ভাবতে ভাবতেই হাটতে লাগলাম। বন্ধু নাসির, চলে গেল তার বাড়ির পথটি ধরে। চারদিক তখন একেবারে নিরব নিস্তব্দ; পুরো শহর তখন গভীর ঘুমে মগ্ন। দূরে নিম গাছে একটি কুক পাখি ডেকে চলছে অবিরাম। কুক পাখির ডাকটাই যেন কেমন! শুনলে গা ছম ছম করে উঠে! কেমন যেন একটা বিষাদ বিরহী ভাব ডাকটার মধ্যে। সেই ডাক এই শীতের রাতের নিঃস্তব্দতাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে
আমার হাতে একটি চার্জলাইট। বড় রাস্তা ছেড়ে যখন ছোট রাস্তায় পায়ে হেটে চলছি। হঠাৎ করেই; হাটা থামিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম! মনে হল, রাস্তার একটু দূরেই কদম গাছের নিচের ঝোপ-ঝাড় গুলো বড় বেশী নড়া-চড়া করছে! একটু ভয় নিয়ে আস্তে করে এগিয়ে গেলাম। তারপর চার্জলাইটের আলো ফেলতেই একটা তরুন দেহের মত একজন মধ্যবয়সী লোক; হাঁজার মাইল বেগে ছুটে পালালো। আরো একটু এগিয়ে লাইটের আলো ফেলে দেখলাম!
নাভীর উপরের অংশে কাপড় ছাড়া একটা নারীদেহ; মুখে হাত দিয়ে দুই চোখ ডেকে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। তার ভরাট দেহ যেন বর্ষার নদীর ঢেউয়ের মত ফুলে ফুলে উঠছে! চোঁখটা সরিয়ে নিলাম। কি বলবো তাকে ঠিক বুঝে উঠছিলাম না।জোরে ধমক দিলাম! এই মেয়ে তুমি কে? কিছু বুঝে উঠার আগেই নারী দেহটি ডাইব দিয়ে দুই পা জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠল
ভাইজান,আপনার আল্লাহর দোয়াই আমারে এই শহরের পতিতা বানাবেন না। আমার কোন দোষ নাই। আবার ধমক দিলাম, চুপ করো;কাপড় পরে নাও তারপর কি হয়েছে বলো? মেয়েটি পা ছেড়ে পাশের ঝোপের আড়াল থেকে শাড়ি নামক এক বস্তু গায়ে জড়িয়ে এলো যা তার রঙ হাঁরিয়েছে অনেক আগে। শাড়িতে কয়েকটি তালি লাগানোর পরেও মেয়েটির দেহ ঢাকতে ব্যর্থ হয়েছে
এরপর ফুফিয়ে ফুফিয়ে মাথা নিচু করে এসে সামনে দাঁড়াল। তাকিয়ে দেখলাম, বয়সে আমার থেকে অনেক বড় হবে তাই এবার আপনি করেই বললাম। সে মাথা নিচু করেই বলতে লাগলো। সে পাশের বাড়ির মৃত বদর আলীর ছেলে সিরাজের স্ত্রী। তার স্বামী বিদেশে কি এক কারখানায় নাকি চাকরি করে। আগে বছর খানেক পর পর বাড়ি আসত,কাপড় নিয়ে টাকা নিয়ে। কিছুদিন থাকত;তাকে আদর সোহাগ করে আবার চলে যেত। দুইবছর হয়ে গেল সিরাজ আর আসেনা। ওখানে সে আরেকটা বিয়ে করেছে; এখন সে আর আসবে না। সে গৃহস্থ বাড়িতে কাজ করে। অনেক যুবক এমনকি বয়স্ক বৃদ্ধরাও তাকে কুকামের প্রস্তাব দেয়। সে কোনোদিন রাজি হয়নি। অনেকবার ভেবেছে এই শহর ছেড়ে; স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে যাবে সে। কিন্তু ঘরে অসুস্থ শ্বাশুড়িকে রেখে কিভাবে যাই ? একটি মায়া স্বরেই বলল সে

আমি অবাক হলাম! যে স্বামী তার খোজ খবর না নিয়ে আরেকটা বিয়ে করে সুখে থাকতে পারে অথচ তারি বৃদ্ধ অসুস্থ মায়ের দায়িত্বভার বহন করছে সে। আমি অবাক দৃষ্টিতে শুনতে লাগলাম তার কথাগুলো। প্রতিদিন একবেলা খেয়ে দিন কাটায় তাও আবার জোটেনা ঠিকভাবে। না খেয়ে ঘরে বসে থাকে সে। বাহিরে বেরুলেই তার জন্য খারাপ প্রস্তাব নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে অনেকেই। সে আর যায়না কাজে। নিজে না হয় না খেয়ে মরে যাব তাতে দুঃখ নেই কিন্তু বৃদ্ধ শ্বাশুড়ি ক্ষিদের জ্বালায় যখন চটপট করে তখন আর সহ্য হয়না। সবাই তাকে শাড়ি, টাকার লোভ দেখায়। কাপড়ের অভাবে অন্য কোথাও কাজের জন্য যেতে পারিনা। তাই শ্বাশুড়ির চিৎকারে আজ এই লোকটির কথায়বলতে গিয়ে………..আবার কেঁদে উঠলো
এবার আর ধমক দিলাম না! কাছে গিয়ে আস্তে তার মাথায় হাত রাখলাম। মেয়েটি ভয়ে ভয়ে মাথাটা সোজা করলো। তার ঠোট দুটো মাছির পাখার মত কাপছে; ভয় আর লজ্জায় মেয়েটি একখন আর কথা বলতে পারছে না। আমি বললাম,আপনি কোন চিন্তা করবেন না। কথা আমি কাউকে জানাবো না। কথাটি শুনে মেয়েটা একটা নিঃশ্বাস ছাড়ল। মনে হল,হয়তো বুকের উপর চাপানো একটন ওজনের একটা পাথর এইমাত্র সরে গেল
জিজ্ঞেস করলাম আপনার নাম কি?
খুব বিরক্ত আর তাচ্ছিল্ল স্বরে উত্তর দিল সান্তা। আমি বললাম, চিন্তা করবেন না। এখন আপনি যান। ছিড়া,তালিযুক্ত কাপড়টাকে কোন মতে গায়ে জড়িয়ে; ক্লান্ত দেহটা বয়ে নিয়ে আস্তে আস্তে অন্ধকারে মিলিয়ে গেল মেয়েটি
আমি তবুও দাঁড়িয়ে আছি-ভাবছি নিজেকে ভীষন অপরাধী মনে হল, আমি অসাধারন কেউ নই। সমাজ সংস্কারক নই, অতি তুচ্ছ একজন মানূষ;তবুও মনের পর্দায় জেগে উঠলো, জীবনে দেখা অনেক মহিলার কথা। যাদের কাছে শাড়ি লজ্জা নিবারনের জন্য কোন মূল্যবান বস্তু নয়। শাড়ি তাদের জন্য ফ্যাশন। টিভির পর্দায়,খবরের কাগজে, মানুষের মাঝে নিজেকে আকর্ষন করে তোলার এক উপদ্রব। কোন এক বিশেষ দিনে নিজেকে বিকশিত করে তোলার এক আবরন। আলমারীতে শোভা করে রাখা এক অহংকার। তাই আজ মনে পড়ল সেই সব শাড়ি পরিহিতাদের কথা; যাদের নামি-দামী বর্ণাঢ্য শাড়ির ঝলকানিতে চোঁখ ঝলসে গিয়েছে কিন্তু পানি আসেনি। অথচ আজ এই চেড়া-তালিযুক্ত আশি,নব্বই টাকার অতিসাধারন একটি শাড়ি,তা দেখে চোঁখে পানি চলে আসলো,কেন জানিনা